চাঁদের কাছে রোদের চিঠি (হার্ডকভার)

ফ্ল্যাপ-
শিরোনামেই মিষ্টি রোমান্টিক উপন্যাস বোঝা গেলেও লেখাটিকে শুধুমাত্র প্রেমের গল্প ভাবলে ভুল হবে। এখানে রোমান্টিকতার পাশাপাশি একটা বিশেষ সময়ের সামাজিক চিত্রও চিত্রিত হয়েছে। উপন্যাসটির পটভূমি নব্বইয়ের দশক। আমি নিজেও সেই সময়ের মানুষ বলেই বারবার নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছিলাম। অবশ্য লেখিকা এমন অনেক ঘটনার অবতারনাও করেছেন যা আমার জন্মেরও আগের - পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, আমি বুঝি আমার মা-খালাদের ছোটোবেলা ঘুরে নিজের শৈশবটা আবার পাড়ি দিয়ে এলাম। যেন এক চমৎকার টাইম ট্রাভেল। তাই বলে একে কোনও বোরিং ইতিহাস ভাবার কারণ নেই। লেখক চমৎকারভাবে এইসব তথ্যগুলো উপন্যাসের গল্পে, চরিত্রে বুনে দিয়েছেন।
গল্পে বেশ কয়েকটি অসাধারণ চিঠি রয়েছে, যার আবেগ হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, কখনো বা চোখ ভিজে উঠেছে। শুধু একজোড়া মানব-মানবীর প্রেম এতে দেখানো হয়নি। বেশ কিছু চরিত্রের আবেগের প্রকাশ ঘটেছে এখানে, উপন্যাস জুড়ে রয়েছে তাদের মিষ্টি প্রেমের প্রকাশ, বিরহ, মান-অভিমানের গল্প। পুরো উপন্যাসের ঔপন্যাসিক চমকটি রয়েছে সবশেষে, যে কারণে এটি হয়ে উঠেছে আরও বিশেষ, আরও ভালো লাগার। বিশ্বাস করি, উপন্যাসটি আমার মতো সব পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।
- তুনা ফেরদৌসী।